কম্পিউটারের মৌলিক ধারণাঃ পর্ব-০৫

maxresdefault-1.jpg

কম্পিউটারের ইতিহাস (History of Computer)

আজকের যে কম্পিউটার সেটি অনেকদিনের বিবর্তনের ইতিহাস। Abacus থেকে শুরু করে Napier’s Bones ও Blaise Pascal এর PASCALINE পর্যন্ত  প্রায় ২ হাজার বছরের ইতিহাস এবং মানুষের সাফল্য শুধুমাত্র যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগের ফলাফল পাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ১৮২৩ সালে Charles Babbage -ই প্রথম প্রোগ্রাম সমৃদ্ধ একাধিক কাজ করতে সম্ভব গণনা যন্ত্র আবিষ্কার করেন। যার নাম Difference Engine. সেটিও প্রায় ২০০ বছর আগের ইতিহাস। এরপরও ব্যাবেজই আরও ২০ বছর পরে ১৮৪২ সালে আবিস্কার করেন- Analytical Engine । ব্যাবেজের মেশিনটিকেই George Scheutz ও Edvard Scheutz নামের বাপ-বেটা দুইজন মিলে ১৮৫৩ সালে পর্যন্ত ডেভলপ করার চেষ্টা করেন এবং ১৫ ডিজিট নাম্বার প্রসেস করতে সমর্থ হন। ১৮৯০ সালে Herman Hollerith নামের বৈজ্ঞানিক Punch Card ব্যবহার করে ডেটা ইনপুট ও সংরক্ষণ করে প্রসেস করার প্রক্রিয়া রপ্ত করেন। তার আগ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার কনসেপ্ট রপ্ত না করে আংশিক সাফল্যের মধ্যেই সবাই সীমাবদ্ধ ছিল। Hollirith এর কোম্পানিই তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সাথে যোগ দিয়ে শুরু করেন IBM (International Business Machine) নামের কোম্পানি। যা কিনা আজকের বর্তমানে কম্পিউটরের জনক কোম্পানি।

ABACUS (প্রথম গণনাকারী যন্ত্র)

আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ বৎসর আগে চীনে ABACUS নামে এক ধরনের গণনা যন্ত্র ব্যবহার করা হত। রাজকীয় সম্পদ ও রাজস্বের হিসেবের জন্য এটি ব্যবহার করা হত। পরবর্তীতে জাপান, রাশিয়া ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে এ ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে। গ্রীক ও রোমানরাও এ্যাবাকাস ব্যবহার করত। এ্যাবাকাস হল কাঠের তৈরি আয়তাকার কাঠামো যাতে ফ্রেমের ভিতর নয়-দশটি আড়াআড়ি সুতা বা তার বেঁধে বিভিন্ন রংয়ের কাঠের গোলাকার বল গেঁথে সাজিয়ে রাখা হত। বাঁ দিকের প্রত্যেক বলকে ৫ ও ডান দিকের প্রত্যেক বলকে ১ বুঝায়। এ্যাবাকাসের কাঠের তৈরি ফ্রেমটি বাম ও দক্ষিণ দুই অংশে বিভক্ত। বাম অংশকে স্বর্গ(Heaven) ও দক্ষিণ অংশকে মর্ত্য (Earth) বলে। এ যন্ত্রটি দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করা যেত। এছাড়াও বর্গ ও বর্গমূল করা যেত। কম্পিউটারে যেমন সংখ্যাকে কোড হিসেবে বিবৃত করা হয় এ্যাবাকাসেও তেমনি সংখ্যাকে কোড বা সংকেত হিসেবে বিবৃত করা হত। এ্যাবাকাস নামক একটি যন্ত্রকে প্রথম গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে গণনা করা হয়।

MARK-1 (প্রথম ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার)

হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাওয়ার্ড আইকেন (Howard Aiken) ও IBM (International Business Machine) কর্পোরেশন যৌথভাবে ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত গবেষণা চালিয়ে প্রথম ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। এটির নাম ছিল MARK-1। চার্লস ব্যাবেজের এ্যানাইলাইটিক্যাল ইঞ্জিনের এটি ছিল একটি বাস্তবরূপ। যন্ত্রটি ছিল ইলেকট্রো ম্যাকানিক্যাল যন্ত্র। এখান থেকেই শুরু হয় প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার। মার্ক-১ এর প্রধান সুবিধা ছিল সম্পূর্ণ অটোমেটিক। মার্ক-১ তার নির্দেশনাগুলো পাঞ্চকার্ড টেপ থেকে পড়ে নিত এবং তাৎক্ষণিক নির্দেশনাগুলো সম্পাদন করার পর পরবর্তীটি পড়ত। মার্ক-১ এ ব্যবহৃত হয়েছিল ৭,৬৫,০০০ টি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং শতাধিক মাইল লম্বা তার। এটি ৫০ ফুট লম্বা ও ৪৮ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বিশাল মেশিন যেটি নিয়ন্ত্রণ করতে ৩০০০ এর অধিক ইলেকট্রিক সুইচ প্রয়োজন হত। এর ওজন ছিল ৪৫০০ কেজি। এটি চালাতে ৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হত। এটিতে ৭২টি সংখ্যা সংরক্ষণ করা যেত। যাদের প্রতিটি ২৩ দশমিক ঘর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মার্ক-১ কম্পিউটারের দ্বারা গণিতের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন- যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং টেবিল বা সারণী সংশ্লিষ্ট কাজ করা যেত। মার্ক-১ দ্বারা এক সেকেন্ডে ৩টি যোগ বা বিয়োগ করতে পারত। গুণ ও ভাগ করতে সময় লাগত যথাক্রমে ৬ ও ১৫.৩ সেকেন্ড সময় প্রয়োজন হত। একটি লগারিদম বা ত্রিকোণমিতির ফাংশন সমাধান করতে ১ মিনিটের বেশি সময় লাগত।

ENIAC (প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার)

১৯৪৬ সালে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন মশলি(John Mauchly) ও জে. প্রেসপার একার্ট (J. Presper Eckert) যৌথভাবে বৃহদাকার ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরি করেন। তাঁরা কম্পিউটারটির নাম দেন ENIAC (Electronic Numerical Integrator And Calculator)। এই এনিয়াক হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার। এই কম্পিউটারে ১৯ হাজার ডায়োড ও ট্রায়োড ভাল্ব, ৭০ হাজার রেজিস্টার, ৬০ হাজার সুইচ, ১০ হাজার ক্যাপাসিটার ছিল। তিন টন বিশিষ্ট এই কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুৎ শক্তি খরচ হত ১৫০ কিলোওয়াট। এটি দ্বারা প্রতি সেকেন্ডে ৫০০০ যোগ অথবা ৩৫০ টি গুণ করা যেত। এটি ৩০ থেকে ৫০ ফুট জায়গা নিত। এটি দশমিক পদ্ধতিতে কাজ করত। এ কম্পিউটারে প্রোগ্রাম সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা ছিল না। এটিতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য জন্য প্লাগবোর্ড ও সুইচ ব্যবহার করা হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে নতুন প্রযুক্তির সংযোজনের জন্যই মূলত এনিয়াকের সৃষ্টি। তখন ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ নির্ধারণে এটি ব্যবহার করা হত।

UNIVAC (প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার)

১৯৪৬ সালে অধ্যাপক জন মশলি(Jhon Mauchly) ও তাঁর সহযোগী প্রকৌশলী জে. প্রেসপার ইকার্ট (J. Presper Eckert) সম্মিলিতভাবে আমেরিকার আদমশুমারীকে সামনে রেখে UNIVAC (Universal Automatic Computer) এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং দীর্ঘ প্রায় ৬ বৎসর একটানা কাজ করে ১৯৫১ সালে প্রথম ইউনিভ্যাক (UNIVAC) কম্পিউটার তৈরি করেন। এই ইউনিভ্যাকই ছিল প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার। এটি তৈরি করতে ৫০০০ ভ্যাকুয়াম টিউব প্রয়োজন ছিল। এটি প্রতি সেকেন্ডে ৮৩৩০ বার যোগ ও ৫৫৫ বার গুণ করতে সক্ষম ছিল। এনিয়াকের চেয়ে তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ হত। গতি তুলনামূলক বেশি। ১৯৫২ সালে IBM কোম্পানি IBM–650, 701 মডেল হিসেবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি ও বাজারজাত করে। এভাবে সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে ডিজিটাল কম্পিউটার আবি®কৃত বা আবির্ভূত হয়েছে এবং আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলছে।

৯। কম্পিউটার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের অবদান

(Contribute to the development of a variety of computer scientists)t

  1. i)Charles Babbage(চার্লস ব্যাবেজ) (কম্পিউটারের জনক)ঃ

জন্ম ঃ ২৬ ডিসেম্বর ১৭৯১, লন্ডন, ইংল্যান্ড। মৃত্যুঃ ১৮ অক্টোবর ১৮৭১, লন্ডন, ইংল্যান্ড।

তাঁর ক্ষেত্রসমূহঃ Mathematics, Analytical Philosophy, Computer Science । বর্তমান কম্পিউটারের অভিধারণা বিশিষ্ট স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র তৈরির প্রথম চেষ্ঠা করেন অধ্যাপক চালর্স ব্যাবেজ। চালর্স ব্যাবেজ ছিলেন ইংল্যান্ডের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। ১৮২২ সালে Charles Babbage লগারিদমসহ গাণিতিক হিসাব-নিকাশ অধিক সহজ ও উন্নত করার জন্য ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) নামে একটি উন্নত যন্ত্র আবিষ্কারের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা আর বেশি দূর এগোয়নি।

১৮৩৩ সালে ব্যাবেজ এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine) নামে উন্নত মানের ম্যাকানিকেল কম্পিউটারের পরিকল্পনা করে সারা বিশ্বে আড়োলন সৃষ্টি করেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব ধরনের গাণিতিক কাজে সক্ষম। এটি প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করতে পারত এবং Instruction মেনে চলতে পারত। এটিতেই প্রথম বাইনারি সিস্টেম (০ এবং ১)  ব্যবহার করা হয়। Charles Babbage এর বান্ধবী এবং বিখ্যাত কবি Lord Byron এর মেয়ে Lady Ada Augusta Byron এই বাইনারি ইনস্ট্রাকশন এর সুচনা করেন। তাকেই পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয়।

আধুনিক কম্পিউটারের সঙ্গে ব্যাবেজের এই যন্ত্রে পাঞ্চকার্ডের সাহায্যে ইনপুট প্রদান করা হত, ইনপুট ধারণের জন্য যন্ত্রটিতে ছিল স্মৃতি ব্যবস্থা, প্রক্রিয়াকরণের জন্য ছিল গাণিতিক অংশ বা মিল(Mill) এবং আউটপুট মুদ্রণের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছিল। ১৮৩৩ সালে তার পরিকল্পিত “এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিন” এর ধারণাকেই আধুনিক কম্পিউটারের সূত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ জন্যই চালর্স ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

  1. ii) Lady Ada Augusta Byron(লেডি এ্যাডা অগাস্টা বায়রন) (প্রথম প্রোগ্রামার)ঃ

জন্ম ঃ ১০ ডিসেম্বর ১৮১৫ লন্ডন, ইংল্যান্ড।  মৃত্যু ঃ ২৭ নভেম্বর ১৮৫২ লন্ডন, ইংল্যান্ড।

তাঁর ক্ষেত্রসমূহঃ Mathematics, Scientists, Computer Programs|  Charles Babbage  এর বান্ধবী এবং বিখ্যাত কবি Lord Byron এর মেয়ে Lady Ada Augusta Byron চালর্স ব্যাবেজের এনালাইটিক্যাল মেশিনের জন্য Assembly Language এ প্রোগ্রাম লেখেন যা প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এজন্য তাকে পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয়। এ প্রোগ্রামিং ভাষা “এ্যাডা” তাঁর নামানুসারে নামকরণ করা হয়।

iii) John Von Neumann (জন ভন নিউম্যান) ( আধুনিক কম্পিউটারের জনক)ঃ

জন্ম ঃ ২৮ ডিসেম্বর, ১৯০৩, বুদাপেষ্ট, অষ্ট্রিয়া, হাঙ্গেরী।

মৃত্যু ঃ ০৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৭, ওয়াশিংটন ডি.সি, U.S.A ।

তাঁর ক্ষেত্রসমূহ ঃ Mathematics and Computer Science ।

হাঙ্গেরীর বংশোদ্ভুদ আমেরিকান গণিতবিদ John Von Neumann ১৯৪৬ সালে নতুন একটি যন্ত্র উদ্ভাবনের পরিকল্পনা করেন যেটিতে-

১. প্রোগ্রাম সংরক্ষণ এবং রক্ষিত প্রোগ্রাম পূনঃ পূনঃ নির্বাহের ব্যবস্থা ছিল।

২. কম্পিউটারের জন্য দশমিক সংখ্যার পরিবর্তে বাইনারি সংখ্যা (০ ও ১) ব্যবহারের প্রস্তাব ছিল।

৩. কম্পিউটারের অভ্যন্তরেই ডেটা ও প্রোগ্রাম সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। তাঁর এ প্রস্তাব সংরক্ষিত প্রোগ্রাম (Stored programs) নামে পরিচিত। জন ভন নিউম্যানের এ প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে U.S Army EDVAC (Electronic Discrete Variable Automatic Computer) আবিষ্কার করেন। বর্তমানে আবি®কৃত ডিজিটাল কম্পিউটারগুলো জন ভন নিউম্যানের প্রস্তবনার সফল বাস্তবায়ন বলে জন ভন নিউম্যানকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসেবে আখ্যায়িত ও সম্মানিত করা হয়।

  1. iv) William Henry Bill Gates(উইলিয়াম হেনরী বিল গেটস)( Microsoft Corporation এর প্রতিষ্ঠাতা)ঃ

জন্মঃ ২৮ অক্টোবর ১৯৫৫, ওয়াশিংটন, USA.  পিতাঃ William Henry Gates মাতাঃ Mary Maxwell Gates.

William Henry Bill Gates পৃথিবীর শীর্ষ সফ্টওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও লেখক। চেয়ারম্যান Corbis, কো-চেয়ারম্যান Bill & Melinda Gates Foundation । কম্পিউটারের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের প্রণেতা বিল গেটস। অপারেটিং সিস্টেম  নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৭৫ সালে। ১৯৮৫ সালে ও IBM ইগ  সঙ্গে যৌথভাবে মাইক্রোসফ্ট বাজারে আনে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম সংস্করণ OS/2 । পরবর্তিতে ১৯৯৫ সালে Windows 95  পূর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে বাজারে আসে। দ্রুত এই অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয়তা পায়, যার ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত  উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ভার্সন বাজারে বের হয়েছে। সেই থেকে আজকের Windows XP, Windows Vista, Windows 07, Windows 08  । তিনিই প্রথম প্রমাণ করেছেন মেধা নির্ভর ব্যবসা দিয়েও ধনকুব হওয়া যায়। এর ফলশ্রুতিতেই বেশ কয়েকবার বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট ধনী হয়েছিলেন। পাশাপাশি বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা মিলে গঠন করেছেন দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এছাড়াও সারা বিশ্বে তাঁর অনুদানে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top
error: Content is protected !!