কম্পিউটারের মৌলিক ধারণা (হার্ডওয়্যার পরিচিতি) পর্ব-০৭

maxresdefault.jpg

স্টোরেজ ডিভাইসঃ

ডেটা সংরক্ষণের জন্য যে ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে স্টোরেজ ডিভাইস বলে। স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণের জন্য এই মেমরি বহুল ব্যবহৃত ও কার্যকর। স্টোরেজ ডিভাইসের সাথে প্রসেসরের সরাসরি সংযোগ না থাকায় অ্যাকসেস সময় ও কাজ করার গতি তুলনামূলকভাবে বেশি, যা মোটামুটি কয়েক মিলিসেকেন্ড হতে মাইক্রোসেকেন্ড পর্যন্ত হয়। সহায়ক মেমরি ধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন হলেও প্রধান মেমরির তুলনায় বেশি হতে হয়। প্রসেসর সহায়ক মেমরি হতে সরাসরি তথ্য ব্যবহার করতে পারে না। ডেটা বা প্রোগ্রামসমূহ সহায়ক মেমরি হতে প্রধান মেমরিতে এনে তারপর কাজ করতে হয়। স্টোরেজ ডিভাইস বিভিন্নি ধরণের হতে পারে।

১। ম্যাগনেটিক স্টোরেজ ডিভাইসঃ হার্ড ডিস্ক, ফ্লপি ডিস্ক।

২। অপটিক্যাল স্টোরেজ ডিভাইসঃ CD-ROM, DVD-ROM

৩। ফ্ল্যাশ মেমরিঃ পেন ড্রাইভ।

৫। একটি হার্ড ডিস্কের গঠন চিত্রসহ বর্ণনা কর।

হার্ডডিস্ক পার্সোনাল কম্পিউটারের একটি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত স্টোরেজ ডিভাইস । স্থায়ী ডেটাসমূহ এবং বৃহৎ প্রোগ্রাম সংরক্ষণের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য মেমরি। বর্তমানে কয়েকশ গিগাবাইট হতে শুরু করে টেরাবাইট পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্ক বাজারে পাওয়া যায়।

হার্ডডিক্স হচ্ছে শক্ত, অনমনীয়, পাতলা গোলাকার ধাতব পাতের সমন্বয়ে গঠিত সবচেয়ে বড় সহায়ক মেমরি। গোলাকার পাতের উভয় পৃষ্ঠে চুম্বকীয় পদার্থের প্রলেপ থাকে। এজন্য এ ডিস্ককে ম্যাগনেটিক ডিস্ক বা চুম্বকীয় ডিস্কও বলা হয়। ইহার গোলাকার পাতগুলো দেখতে গ্রামোফোন রেকর্ডের মত। গোলাকার পাতগুলোর মাঝখানে একটি দন্ড থাকে। এই দন্ডকে Spindle বলে। প্রতিটি ডিস্কের সমন্বিত বিন্যাসকে বলা হয় সিলিন্ডার।  Spindle এর সাহায্যে গোলাকার পাতগুলো একটির উপর একটি স্তুপাকারে বসানো থাকে। কাজের সময় Spindle এর সাহায্যে সিলিন্ডারগুলো প্রতি মিনিটে ৭২০০ বা তার চেয়ে কম-বেশী বার ঘুরতে থাকে। প্রতিটি ডিস্কের পৃষ্ঠদেশ অসংখ্য বৃত্ত রেখা দ্বারা বিভক্ত থাকে। বৃত্ত রেখা দ্বারা বিভক্ত বৃত্তীয় অংশগুলোকে বলা হয় Track । একটি পৃষ্ঠে ১০-১২ হাজার পর্যন্ত Track থাকে। প্রতিটি Track এ ৬৪ টি অংশে বিভক্ত করা হয়, সেগুলোকে Sector বলে। ডিস্কের প্রতিটি পৃষ্ঠের জন্য রিড-রাইট হেড থাকে। রিড-রাইট হেডসহ গোটা ডিস্ক ব্যবস্থা একটি বায়ুশূণ্য প্রকোষ্টে এমনভাবে বসানো থাকে যেন ডিস্কগুলো এককেন্দ্রীকভাবে ঘুরতে পারে। ডিস্কের প্রতিটি ডিস্কের পৃষ্ঠদেশের Track এ অদৃশ্য ক্ষুদ্র চুম্বকীয় বিন্দু আকারে তথ্য লিখিত হয় বাইনারী পদ্ধতিতে।

হার্ড ডিস্কে তথ্য ধারণঃ

একেবারে উপরের ডিস্কের উপরের পৃষ্ঠ এবং নিচের ডিস্কের নিচের পৃষ্ঠ ছাড়া অন্যান্য ডিস্কগুলোর উভয় পৃষ্ঠে এবং সবচেয়ে উপরের ও নিচের ডিস্কের ভিতরের দিকের পৃষ্টে উপাত্ত, তথ্য, প্রোগ্রাম ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। ডিস্কে সংরক্ষিত উপাত্ত, তথ্য প্রয়োজন অনুসারে লিখন ও পঠন সম্ভব। ডিস্কে যে কোন তথ্য মুছা যায় আবার নতুনভাবে লেখা যায়। হার্ডডিস্কের ধারণ ক্ষমতা নির্ভর করে মোট ব্যবহৃত ডিস্কের সংখ্যার উপর। ডিস্কের সংখ্যা যত বেশী হবে উপাত্ত ধারণের জন্য তত বেশী পৃষ্ঠা, ট্রাক(Track) ও সেক্টর(Sector) পাওয়া যাবে।
হার্ড-ডিস্কের ব্যবহারঃ
১। বই, পুস্তক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্যাদি সংরক্ষণে।
২। পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, জার্নাল ইত্যাদি সংরক্ষণে।
৩। অডিও-ভিডিও ও গানের অ্যালবাম সংরক্ষণে।
৪। শিশুতোষ বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রকাশনায়।
৫। ভিডিও গেইম সংরক্ষণে।
৬। সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রাম সংরক্ষণে।
৭। যে কোন ধরণের ডেটা সংরক্ষণ ও স্থানান্তরে।
৮। শিক্ষা উপকরণ সংরক্ষণ ও বিনিময়ে।
৯। ঐতিহাসিক কোন মূল্যবান তথ্যাদি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণে।
১০। বিয়ে, জন্মবার্ষিকী ইত্যাদি অনুষ্ঠান সংরক্ষণে।
৬। সিডি রম(ঈউ-জঙগ) বলতে কি বুঝ ? চিত্রসহ সিডি রমের গঠন, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার লিখ।

সিডি রম(CD-ROM):
CD-ROM এর পূর্ণ রূপ হল- Compact Disk-Read Only Memory. যার অর্থ হল ডেটা সংরক্ষিত করে রাখার এমন একটি মেমরি যেখানে শুধু ডেটা পড়া যায়। এটি বহুল ব্যবহৃত একটি অপটিক্যাল স্টোরেজ মিডিয়া। মূলত CD-ROM এক প্রকার ডিস্ক যাতে আলোর সাহায্যে একবারই কেবল ডেটা লেখা যায় এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে এ ডেটা বারবার পড়া যায়। সেজন্য CD-ROM কে অনেক সময় WORM(Write Once Read Many) বলা হয়। সিডি-রমের সাহায্যে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক বা ইলেকট্রনিক লাইব্রেরি স্থাপিত হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ তথ্য ধারণ করা যায়। একটি সিডি-রমে সাধারণত ৭৮০ মেগাবাইট বা তার চেয়ে বেশি ডেটা ধারণ করতে পারে। একটি A4 সাইজের কাগজের প্রায় ৪ লক্ষ পৃষ্ঠার সম পরিমাণ লেখা একটি সিডিতে অনায়াসে সংরক্ষণ করা যায়। সিডি-রমের সাহায্যে লক্ষ লক্ষ পরিমাণ ডেটা বছরের পর বছর অবিকলভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে।

সিডি রমের গঠনঃ
CD-ROM ১২০ মিলিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট গোলাকার একটি ডিস্ক যা ১.২ মিলিমিটার পুরু। এর কেন্দ্রে ১৫ মিলিমিটার একটি ছিদ্র আছে। সিডির মধ্যবর্তী ছিদ্রের চারপাশে ৬ মিলিমিটার বেষ্টনীকে বলা হয় ক্লেমপিং এরিয়া (Clamping Area)। এটি ড্রাইভের সাথে লেগে থাকে এবং এতে কোন ডেটা থাকে না। এরপর ৪ মিলিমিটার বেস্টনীকে VTOC(Volume Table of contents) বা লিড ইন এরিয়া (Lead In Area) বলা হয়। VTOC এর পরের ৩৩ মিমি. বেস্টনীতে ডেটা ধারণ করে। এরপর ১ মিমি. Lead Out Area বলে যা সিডির শেষ সীমানা নির্দেশ করে। সিডি হালকা পরিষ্কার পলিকার্বনেট প্লাস্টিক এবং মেটাল দিয়ে তৈরি। মেটাল হিসাবে সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহৃত হয়।
CD-ROM -এ ডেটা সংরক্ষণের জন্য লেজার রশ্মি নিক্ষেপণের মাধ্যমে অতি ক্ষুদ্র গর্ত সৃষ্টি করা হয় যা পিটস্ (Pits) নামে পরিচিত। এই পিটস্ ১ থেকে ২ মাইক্রণ লম্বা. ০.৫ মাইক্রণ চওড়া এবং ১/১০ মাইক্রণ গভীরতা বিশিষ্ট। একটি সিডি সাধারণত এ রকম তিন মাইল ক্ষুদ্র পিটস্ নিয়ে তৈরি। পিটস্রে পাশের অংশকে ল্যান্ড (Land) বলে। পিটস্ ও ল্যান্ড তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাইনারী ডেটা (০ ও ১) সংরক্ষণ করতে পারে। লেজার ভিত্তিক ড্রাইভ (CD-ROM Drive ও DVD-ROM Drive ) দিয়ে এ ডিস্ক পড়া যায়।
সিডি রমের ব্যবহারঃ
১। বই, পুস্তক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্যাদি সংরক্ষণে।
২। পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, জার্নাল ইত্যাদি প্রকাশনায়।
৩। অডিও-ভিডিও ও গানের অ্যালবাম প্রকাশ ও সংরক্ষণে।
৪। শিশুতোষ বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রকাশনায়।
৫। ভিডিও গেইম সংরক্ষণে।
৬। সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রাম সংরক্ষণে।
৭। যে কোন ধরণের ডেটা সংরক্ষণ ও স্থানান্তরে।
৮। শিক্ষা উপকরণ সংরক্ষণ ও বিনিময়ে।
৯। দূর্লভ বা ঐতিহাসিক কোন ঘটনা বা মূল্যবান তথ্যাদি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণে।
১০। বিয়ে, জন্মবার্ষিকী ইত্যাদি অনুষ্ঠান সংরক্ষণে।
১১। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের সফ্টওয়্যার তৈরি ও সংরক্ষণে।
ফ্ল্যাশ মেমরি (Flash Memory):
ফ্ল্যাশ মেমরি বিশেষ ধরণের সেমি-কন্ডাক্টর মেমরি যা স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ করতে পারে। এ মেমরিতে সংরক্ষিত ডেটা যে কোন সময় রিড-রাইট করা যায়। CD, DVD, Hard disk, Floppy disk এর বিকল্প হিসেবে ফ্ল্যাশ মেমরি ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত হালকা ও সহজে বহনযোগ্য কলমের ক্যাপের মত দেখতে এ মাধ্যমটিকে Pendrive বা পেন ডিস্ক বলা হয়। আকারে ছোট হওয়ায় মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা, বহনযোগ্য কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ফ্ল্যাশ মেমরি ব্যবহার করা হয়। অতি সম্প্রতি ডেটা ট্রান্সফার ও সংরক্ষণের সুবিধার জন্য Pendrive বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কম্পিউটারে USB পোর্টের সাথে সংযোগ দিয়ে এ মেমরি ব্যবহার করা হয়। এর জন্য কোন ড্রাইভের প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে ৩২ মেগাবাইট থেকে শুরু করে ৩২ গিগাবাইট বা তার চেয়ে বেশি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ফ্ল্যাশ মেমরি বাজারে পাওয়া যায়।
নিম্নে বহুল প্রচলিত কিছু ইনপুট যন্ত্রপাতির পরিচিতি তুলে ধরা হলো-

১। কী-বোর্ড (Keyboard): কতকগুলো বর্ণ, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি সমন্বয়ে তৈরী অনেকগুলো বোতাম বিশিষ্ট যন্ত্রকে কী বোর্ড বলে। কী বোর্ড কম্পিউটারের একটি Input যন্ত্র। Input Device এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক ব্যবহৃত ডিভাইস হচ্ছে Keyboard । এটি ছাড়া কম্পিউটার অপারেট করা প্রায় অসম্ভব। কী-বোর্ডে বিভিন্ন অক্ষর, বর্ণ, সংখ্যা, প্রতীক ইত্যাদির বাটন থাকে। এছাড়া কম্পিউটার অপারেটিং, মাল্টিমিডিয়া, ও ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি কাজের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা সম্বলিত কয়েকটি Button থাকে। কী-বোর্ড সিরিয়াল ইন্টারফেসের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। Keyboard প্রধানত দুই ধরনের। যেমনঃ Standard Keyboard (84 keys) এবং Enhanced keyboard (101/102/104 keys). Keyboard এর পোর্ট হয় মোট তিন রকম। যথাঃ PS/2 Port, USB Port এবং Serial Port. বর্তমানে Optical, Wireless Keyboardও পাওয়া যায়।
হোম কী(Home key): বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে কী বোর্ডের ৮টি অক্ষর বা চাবির উপর আঙ্গুল রাখা বা স্থাপন করাকে হোম কী বলে। যেমন-দুই হাতের ৮টি আঙ্গুল বাম হাতের কনিষ্টা, অনামিকা, মধ্যমা ও তর্জনী যথাক্রমে (a, s, d, f ) এবং ডান হাতের তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্টা যথাক্রমে (j, k, l, ; ) এই ৮টি কী উপর রাখা হয়।
নিচে কী-বোর্ডের বিভিন্ন অংশের কাজ বর্ণনা দেয়া হল-
Esc key: এ কী-তে চাপ দিয়ে সাধারণত কোন কমান্ড বাতিল করা যায় বা পূর্বের ইউন্ডোতে ফিরে যাওয়া যায়।
Function key: কী বোর্ডের উপরের সারিতে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে কীগুলো দেখা যায় তাকে Function key বলে। MS-word
এ Alt, Shift, Ctrl কী চেপে ধরে Function key ব্যবহার করা হয়।
Tab key: এ কীতে চাপ দিলে ডান দিকে যে পরিমাণ ট্যাব সেট করা আছে কার্সর লাফ দিয়ে যাবে। সাধারণত: ০.৫ ইঞ্চি ডিফল্ট সেট
করা থাকে।
Alt key: এ কী চেপে মেনু নির্বাচন করা যায় এবং ASCII কোড ব্যবহার করা যায়।
Space bar: কোন শব্দ বা অক্ষরের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা।
Shift key: ইংরেজী বড় হাতের অক্ষর বা কী-বোর্ডের চাবির উপরের অংশ টাইপ করার জন্য ইহা ব্যবহার হয়।
Back Space key: পূর্বের অক্ষর বাদ বা কেটে দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
Delete key: সামনের বা পরের অক্ষর বাদ বা কেটে দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
Enter key: পরবর্তী লাইনে যাওয়া এবং কোন কমান্ড কার্যকর করার জন্য ব্যবহার করা হয় ।
Caps Lock key: শুধু ইংরেজী বড় হাতের অক্ষর বা চাবির উপরের অংশ টাইপ করার জন্য ইহা ব্যবহার হয়।
Arrow key: কার্সরকে ডানে-বামে, উপরে-নীচে নেয়া জন্য ব্যবহার হয়।
Cursor key: যে সমস্ত কী এর সাহায্যে কার্সরকে স্থানান্তর করা যায় তাকে কার্সর কী বলে। যেমন Arrow key, Page Down
ইত্যাদি।

২। মাউস (Mouse) Mouse হচ্ছে কী-বোর্ডের পাশাপাশি আরেকটি বহুল ব্যবহৃত ইনপুট ডিভাইস। মাউস দিয়ে কী-বোর্ডের চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ করা যায়। এটি মূলত পয়েন্টিংয়ের কাজ করে থাকে। কী-বোর্ডের নির্দেশ ছাড়াই এর মাধ্যমে কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মাউসের সাহায্যে সহজে এবং স্বাচ্ছন্দে মেনু বা লিস্টের একাধিক অপশন থেকে নির্দিষ্ট অপশন সিলেক্ট করা যায়। আইকন বা টুলস সিলেক্ট করা যায় কিংবা বাটন কার্যকর বা অকার্যকর করা যায়। লেখা সম্পাদনাসহ দ্রুততার সাথে যে কোন কাজ করা যায় এবং মনিটরের যে কোন স্থানে কার্সর স্থাপন বা মাউসের অবস্থান নির্ধারণ করা যায়। মাউস দুই ধরনের হয়। যেমনঃ Mechanical I Optical ।
মেকানিক্যাল (Mechanical): মাউসের নিচের দিকে একটি বল থাকে এজন্য মাউস মুভ করলে কার্সরও উপরে/ নিচে/ ডানে / বামে মুভ করে।
অপটিক্যাল (Optical): মাউসের নিচের দিকে বলের পরিবর্তে একটি Ray দ্বারা মুভ হয়। এই মাউস ক্যবলসহ হতে পারে আবার
Wireless ও হতে পারে।
মাউসের গঠনঃ একটি স্ট্যান্ডার্ড মাউসে ২টি বা ৩টি বাটন থাকে। বামেরটি বাম বাটন, ডানেরটি ডান বাটন এবং মাঝখানে একটি স্ক্রল(Scroll) বাটন থাকে। বাম পাশের বাটনের সাহায্যে কী-বোর্ডের এন্টার বাটনের কাজসহ কোন কিছু কার্যকর করা হয়। অধিকাংশ কাজই বাম পাশের বাটনের সাহায্যে করা হয়। ডান পাশের বাটনের সাহায্যে প্রোগ্রাম অনুযায়ী বিভিন্ন মেনু বা লিস্টের কাজ করা হয়।
মাউসের ব্যবহারঃ পয়েন্টিং, ক্লিক, ডাবল-ক্লিক, মেনু, ড্র্যাগ এবং স্ক্রল।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top
error: Content is protected !!