গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

কম্পিউটারের মৌলিক ধারণাঃ পর্ব-০২

Computer-4.jpg

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ (Characteristics of a computer):

১। দ্রুতগতি(High Speed)

২। সূক্ষ্মতা(Accuracy)

৩। যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত(Logical Decision)

৪। মেমরি(Memory)

৫। ক্লান্তিহীনতা (Diligence)

৬। বিশ্বাস যোগ্যতা(Reliability)

৭। স্বয়ংক্রিয়তা(Automation)

৮। বহুমুখিতা(Versatility)

১। দ্রুতগতি (High Speed): কম্পিউটার কল্পনাতীত ও অসম্ভব দ্রুত গতি সম্পন্ন একটি যন্ত্র। এটি কাজ করে ইলেকট্রিক সিগন্যানের মাধ্যমে। যার গতি প্রায় আলোর বেগের সমান। যার ফলে এটি প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ডেটা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রসেস করতে পারে। মানুষের সাথে কম্পিউটারের তুলনা করা হলে, কম্পিউটার এক ঘন্টায় যে পরিমাণ হিসাব-নিকাশের কাজ করতে পারবে, একজন মানুষ তার ১০০ বছরের কর্মময় জীবনেও তার সমপরিমান কাজ করতে পারবে না। বোঝার সুবিধার জন্য সেকেন্ডের ভগ্নাংশের একটি টেবিল নিচে দেয়া হলঃ-

১ মিলি সেকেন্ড = ১/১০০০ সেকেন্ড = ১০-৩ সেকেন্ড।

১ মাইক্রো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০ সেকেন্ড = ১০-৬ সেকেন্ড।

১ ন্যানো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০ সেকেন্ড = ১০-৯ সেকেন্ড।

১ পিকো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড = ১০-১২ সেকেন্ড।

১ পেমটো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড = ১০-১৫ সেকেন্ড।

১ এ্যাটো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড = ১০-১৮ সেকেন্ড।

২। সূক্ষ্মতা(Accuracy): হিসাব নিকাশ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুততা ও সূক্ষ্মতার কোন বিকল্প নেই। আধুনিক কম্পিউটারগুলো কাজ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ফলে খালি চোখে দেখা যায় না এমন বস্তুর ক্ষেত্রেও অনেক সূক্ষ্ম ও জটিল হিসাব-নিকাশ করা যায়।

৩। যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত(Logical Decision): কম্পিউটার একটি প্রোগ্রাম নির্ভর স্বতন্ত্র ইলেকট্রনিক যন্ত্র। সঠিক ও দক্ষ প্রোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে এটির সাহায্যে দ্রুত ও নির্ভুল যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

৪। মেমরি(Memory): কম্পিউটার মেমোরি হলো সফ্টওয়্যার নিয়ন্ত্রিত ডিভাইস বা যন্ত্র যেখানে বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম ও তথ্য, উপাত্ত সঞ্চয় করে রাখা হয়। কম্পিউটারের মেমরি বিশাল ও ব্যাপক। এখানে যতদিন ইচ্ছা সংরক্ষিত বিষয় বস্তুকে অবিকৃত ও অবিকল অবস্থায় রাখা যায়। এই মেমরির বিশেষ সুবিধা হল- এতে বিপুল তথ্য ধারণ করা যায়, ওজনে হালকা, দামে সস্তা এবং সহজে একস্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা যায়। ফলে বর্তমানে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটেনিকা, বাংলা পিডিয়া এবং পৃথিবীর বিখ্যাত বড় বড় লাইব্রেরির ডিজিট্যাল সংস্করণ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

৫। ক্লান্তিহীনতা(Diligence): উপযুক্ত পরিবেশে কম্পিউটার রাত দিন ক্লান্তিহীন, বিরক্তিহীন এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারে। কম্পিউটারের কোন আবেগ নেই। তাই কাজ করতে তার মনোযোগ ও উৎসাহে ভাটা পড়ে না। যেমন কোটি কোটি যোগ বিয়োগ একটি কম্পিউটার বিরতিহীনভাবে করতে পারে। কিন্তু একজন মানুষ কিছু সময় কাজ করার পর বিশ্রাম নেয়া তার জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে। শিল্পক্ষেত্রে কিংবা পর্যবেক্ষণমূলক কাজে এই কারণেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

৬। বিশ্বাস যোগ্যতা(Reliability)t মানুষের দেয়া সূত্র ও যুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রদান করে। মানুষ তার নিজের আবিষ্কার করা সূত্র ব্যবহার করতে যেয়ে ভুল করতে পারে। কিন্ত কম্পিউটার তা কখনও ভুল করে না। কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং ডেটা যদি ১০০% বিশুদ্ধ ও সঠিক হয় সেক্ষেত্রে কম্পিউটার অত্যন্ত বিশ্বস্তও নির্ভুলতার সাথে ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটারের নির্ভুলতা শতকরা ১০০ ভাগ।

৭। স্বয়ংক্রিয়তা(Automation)t কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এই কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। পূর্বে থেকেই যেহেতু কম্পিউটারে নির্দেশ সংরক্ষণ করে দেয়া থাকে, তাই কাজ করার সময় একটির পর একটি নির্দেশের আলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার কাজ করতে পারে।

৮। বহুমুখিতা(Versatility)t বহুমুখী কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায়। এর কারণ হচ্ছে কম্পিউটার একটি প্রেগ্রাম নির্ভর যন্ত্র। যখন যেই প্রোগ্রাম কম্পিউটারে লোড করা থাকে সেই প্রোগ্রাম অনুসরণ করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। এই কারণে একটি কম্পিউটারে যেমন হিসাব-নিকাশের প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করা যায় আবার মাল্টিমিডিয়া সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ছবি দেখা যায় বা গান শুনা যায়। এরকম বিবিধ কাজ কম্পিউটার এক সাথে করতে পারে।

৫। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার (Uses of computer in a various fields)t

ঘর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত এমন কোন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে কম্পিউটার ব্যবহার হয় না। অফিসের কাজে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট, শিল্প-কারখানা, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন, দোকান পাট, ব্যাংক-ইন্সুরেন্স কোম্পানি, আবহাওয়া অফিস, মহাশূন্য স্টেশন-ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হয়।

১। শিক্ষাক্ষেত্রে (In Education)

২। আবাসস্থলে (At Home)

৩। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে (In Departmental Store)

৪। রেলওয়ে ও বিমান বন্দরে (In Railway and Airlines Reservations)

৫। যোগাযোগ ক্ষেত্রে (In Communication)

৬। ব্যাংকে (In Banks)

৭। মুদ্রণ ও প্রকাশনায় (Printing and Publishing)

৮। হাসপাতালে (In Hospitals)

৯। বিনোদনে (Entertainment)

১০। গবেষণা ও উন্নয়নে (In Research and Development)

১১। সামরিক ক্ষেত্রে (In Defense )

১২। ব্যবসা বাণিজ্যে (In Business and Industry)

১। শিক্ষাক্ষেত্রে (In Education): অফলাইন এবং অনলাইন দুই ধরনের শিক্ষাতেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের কোর্স ম্যাটেরিয়ালস সংরক্ষণ করা হয় কম্পিউটারে। পরে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস রুমে টিচার উপস্থাপন করেন। কম্পিউটারের মাধ্যমে কিছু গাণিতিক ডায়াগ্রাম সহজে বোঝানো হয়। ছাত্ররা অ্যাসইনমেন্ট তৈরি করে থাকেন কম্পিউটারের মাধ্যমে। নিম্নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষায় কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। যেমন-

  1. i) ই-এডুকেশন
  2. ii) কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষাদান

iii) দূরশিক্ষণ (Distance Learning)

  1. iv) পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ভর্তি ও ফলাফল প্রকাশ
  2. v) ই-বুক
  3. i) ই-এডুকেশনঃ যে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় বা অনলাইনে ঘরে বসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা, পরীক্ষা দেওয়া কিংবা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা লাভ করা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় তাকে ই-এডুকেশন বলে। ই-এডুকেশন শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে ই-এডুকেশন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
  4. ii) কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষাদানঃ কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার বিভিন্ন দিক ও বিষয়কে শিক্ষার্থীদের নিকট অনেক সহজ, সুন্দর ও জীবন্তরূপে উপস্থাপন করা যায়। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে বর্ণ পরিচয়, গল্পের মাধ্যমে শিক্ষাদান, উচ্চারণ শেখা, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে শিক্ষা ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্লাইড (Slide) তৈরি করে বিভিন্ন জটিল বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক ডায়াগ্রাম সহজে উপস্থাপন করা যায়। প্রজেক্টরের মাধ্যমে জটিল ও কঠিন বিষয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে টেক্সট, স্থির ও চলমান চিত্র এঁকে, অডিও-ভিডিও-র সাহায্যে যে কোন পাঠ্যবিষয়কে অত্যন্ত ফলপ্রসু ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়। এতে করে দ্রুত ছাত্র-ছাত্রীরা বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে।

iii) দূরশিক্ষণ (Distance Learning): ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি, ক্লাসে বা পরীক্ষায় অংশ করাকে দূরশিক্ষণ বলে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভিডিও কনফারেন্সিং এর সাহায্যেও ক্লাস নিয়ে থাকে। দূরশিক্ষণের মাধ্যমে যে কোন স্থান হতে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ গ্রহণ করা বা সময়মত পরীক্ষাও দেওয়া যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

  1. iv) পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ভর্তি ও ফলাফল প্রকাশঃ কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যায়নের মাধ্যমে দ্রুত ও প্রকৃত মেধাবীদের খুঁজে বের করা সম্ভব হয়। কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে OMR( Optical Mark Reader) মেশিন সংযুক্ত করে দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে খাতা মূল্যায়ন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে কম্পিউটারের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করে এবং অনলাইনের মাধ্যমে নিজ কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে জানা যায় পরীক্ষার ফলাফল। বর্তমানে আমাদের দেশে এস.এস.সি, এইচ.এস.সি ও স্নাতক পর্যায়ে এবং বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে TOFEL, GMAT, SAT, IELTS ইত্যাদি পরীক্ষাসমূহ সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে গ্রহণ ও ফলাফল প্রদান করা হয়।
  2. v) ই-বুক: তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ বা রূপই হলো ই-বুক। ই-বুক যে

ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত থাকে তাকে অনলাইন লাইব্রেরী বলে।


২। আবাসস্থলে (At Home): হোমওর্য়াকের কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। গৃহিণী তার ফ্যামিলি বাজেট কম্পিউটারের মাধ্যমে

করতে পারে। এছাড়া ভিডিও গেম খেলা, গান-শোনা, ভিডিও দেখা, টিভি দেখা ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়।

৩। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে (In Departmental Store): বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ক্রয়-বিক্রয়, স্টক, ইনভেনটারিসহ

কর্মচারীদের যাবতীয় হিসাব নিকাশ রাখা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে।

৪। রেলওয়ে ও বিমান বন্দরে (In Railway and Airlines Reservations): রেলওয়ে ও বিমান বন্দরে রির্জাভেশনের যাবতীয় কাজ করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। কম্পিউটারের কয়েকটি বাটন প্রেস করে দ্রুত সময়ে কাজটি করা যায়। ম্যানুয়্যাল রির্জারভেশন সিস্টেমে এক টিকিট অনেকের কাছে ভুল করে বিক্রয় করা হয় কিন্তু কম্পিউটার নেটওর্য়াক ব্যবহারে এই সমস্যা থাকে না।

৫। যোগাযোগ ক্ষেত্রে (In Communication): একস্থান থেকে অন্যস্থানে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। টেলিফোনের মাধ্যমে শুধু মাত্র কণ্ঠস্বর আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু কম্পিউটারের মাধ্যমে ভয়েস, পিকচার, মুভি, ডকুমেন্ট ইত্যাদি সবকিছুই পাঠানো সম্ভব। ই-মেইল, ফেইসবুক, টুইটার, ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদির মাধ্যমে খুব দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব।

৬। ব্যাংকে (In Banks): ব্যাংকে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের হিসাব রাখা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক যে কোন সময়, যে কোন স্থান থেকে ATM(Automatic Traler Machine) কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারেন। এছাড়া কর্মচারীদের বেতন, বিভিন্ন প্রকার ভাতা, ওভার টাইম, আয়কর, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদির হিসাব-নিকাশ রাখা হয়।

৭। মুদ্রণ ও প্রকাশনায় (Printing and Publishing): কম্পিউটারের সাহায্যে বই, ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার, সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড ইত্যাদি প্রিন্ট করা হয়। যখন কোন লেখক পান্ডুলিপি দিয়ে থাকেন তখন প্রথমেই কম্পিউটারে কম্পোজ করা হয় পরে বিভিন্ন ধরনের স্টাইল, পিকচার ইত্যাদি সংযোজন করে কাগজে প্রিন্ট করা হয়। বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, কভার ইত্যাদি ডিজাইনও করা হয় এটির মাধ্যমে।

৮। হাসপাতালে (In Hospitals): হাসপাতালে যে সমস্ত সেনসেটিভ যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলিও কম্পিউটারাইজড। এছাড়া রোগীর কেস হিস্ট্রি, ওষুধের স্টক ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। MRI(Magnetic Resonance Imagine), ECG(Electro Cardiogram), আলট্রাসনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, ইত্যাদির মাধ্যমে নির্ভূলভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়। Virtual Reality মাধ্যমে চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

৯। বিনোদনে (Entertainment): চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রেও কম্পিউটার অনেক বড় ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার ভিডিও গেম, গান, ভিডিও, টিভি দেখা ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সম্ভব। এছাড়া ইন্টারনেট চ্যাটিং বিষয়টিও রয়েছে।

১০। গবেষণা ও উন্নয়নে (In Research and Development): বিভিন্ন ধরনের গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ডকুমেন্ট, বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তু খুব সহজেই google Search Engine ব্যবহার করে সংগ্রহ করা যায়।

১১। সামরিক ক্ষেত্রে (In Defense): শক্তিশালি ডিফেন্স যন্ত্রপাতি, অস্ত্র ইত্যাদি এখন কম্পিউটারাইজড। বিভিন্ন ধরনের মিশাইল নিয়ন্ত্রণ করা হয় এটির মাধ্যমে। এছাড়াও চালকবিহীন বিমান পরিচালনা, বিভিন্ন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রও নিয়ন্ত্রণ করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। Virtual Reality -র মাধ্যমে সামরিক বাহিনীতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

১২। ব্যবসা বাণিজ্যে (In Business and Industry): বিজনেসম্যান তার ব্যবসার সমস্ত রেকর্ড রাখেন কম্পিউটারে। তার অ্যাকাউন্ট, কর্মচারীদের বেতন, স্টক সংক্রান্ত হিসাব রাখেন কম্পিউটারের মাধ্যমে। এছাড়া CAM(Computer Aided Manufacturing) এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করা হয় কারখানাতে। ই-কমার্স, অনলাইন শপিং ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top
error: Content is protected !!