নিউটনের মাথায় আপেল পরে যেমন অভিকর্ষের সূত্র আবিষ্কার হয়েছিল, তেমনি আমাদের জীবনে বেকারত্বের চাপ পড়তে না পড়তেই, বিশেষ করে তরুনদের মাথায় ফ্রিল্যান্সিং এর ভূত চেপে বসল। ফ্রিল্যান্সিং জগতে বর্তমানে অনেক ছেলে মেয়ে আসতে চায় নিজেকে সাবলম্বী করে নেবার জন্য।
এই জগতে অন্ধকারের কিন্তু শেষ নেই যদি আলো নিয়ে না আসেন। আর সেই আলো হলো স্কিল (দক্ষতা)। আমরা অনেকেই জানি না ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে করে বা ফ্রিল্যান্সিং কী?
কেহ যখন কোনো স্কিল নিয়ে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে প্রোফাইল করে, অনলাইনে আয় করবে তখন তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। সেই স্কিল হতে পারে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং। কিন্তু এছাড়াও হাজারটা স্কিল নিয়ে আপনি চাইলে কাজ করতে পারবেন।
কথায় বলে না, আপনি যদি নিজে গিয়ে সাগরের কাছে দেখবেন ঢেউ কেমন, তেমনি আপনি মার্কেটপ্লেস যেমন (আপওয়ার্ক বা ফাইভার ওয়েবসাইটে) না গিয়ে বুঝবেন না এইখানে কীভাবে কাজ করবেন। ওয়েবসাইটের নিচে লেখা থাকে কী কী কাজ করতে পারবেন আপনি এখানে। সেই অনুযায়ী আপনি নোট করে নিতে পারেন কী স্কিল আপনার জন্য ভালো হবে। কিন্তু ভুল করবেন যদি প্রোফাইল খুলে বসেন কাজ না শিখে।
তাহলে কী করবেন?
আপনি হয়ত পড়ালেখা করছেন বা চাকরি, অথবা একজন গৃহিণী। আপনি আপনার বেসিক কম্পিউটারে জানা স্কিলগুলোকে লিস্ট করবেন। লিস্ট করার পরে আপনি খুব সহজেই নির্ধারণ করবেন কি শিখলে আপনার ধৈর্য থাকবে। দেখবেন অনেকেই উল্টা- পাল্টা রিসার্স করে পরে হতাশ হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি একটু গুছিয়ে রিসার্স করেন তবেই আপনি পারবেন।
স্কিল শেখার জন্য অনলাইনে অনেক রিসোর্স আছে (বিশেষ করে ইউটিউব বা গুগলে) এবং অফলাইনেও। তার মধ্যে আপনি ইচ্ছেমতো খুজে নিতে পারেন এবং ওইখান থেকে কারিকুলাম দেখে সার্চ করে শিখে নিতে পারেন অথবা কোন কোর্স করতে পারেন স্কিল এর জন্য।
এরপরে আপনার খুব সুন্দর একটা প্রোটফলিও বানিয়ে, মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল করে শুরু করে দিন অ্যাপ্লাই করা। প্রথমে কাজ পেতে হয়ত কষ্ট হবে। কিন্তু হার মেনে নিলে হবে না, চেষ্টা করে যেতে হবে।
কেহ যদি আপনাকে বলে আপনি পারবেন, আপনি হয়ত মোটিভেইটেড হয়ে এখনি ঝাঁপিয়ে পড়বেন। কিন্তু মনে রাখাবেন, পানিতে নামার আগে সাঁতারটা শিখে নিলে কিন্তু ডুবে মরতে হবে না। স্কিল ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং এ আসাটাও ঠিক তেমনি।